২০০ বছর বয়সেও এই কাঠাল গাছটি দিয়ে যাচ্ছে কয়েকশো ফল


 গাছেরা যেমন আমাদেরকে বাচার জন্য অক্সিজেন দিচ্ছে তেমনিভাবে আমাদের দোইনিক খাবারের চাহিদাও মিটাচ্ছে তারা। আসলে স্রষ্টার এমন সৃষ্টিতে আমরা মুগ্ধ না হয়ে পারি কিভাবে। আমাদের চারপাশে আমরা কতো ধরনের উদ্ভিদই না দেখছি। কিন্ত এদের অনেককে আমরা কাচ্ছে আবার তাদের ফলও খাচ্ছি।

কিছু কিছু উদ্ভিদ আবার ঔষধি হিসেবেও ব্যাবহৃত হচ্ছে। মজার বিষয় হচ্ছে এমন কিছু উদ্ভিদ আছে যাদের কোনো কিছুই আমরা খেতে পারিনা। না খেতে পারি ফুল না খেতে পারি ফল। স্রষ্টার এই অদ্ভুদ দুনিয়াতে এমন কিছু অদ্ভুদ উদ্ভিদ রয়েছে যারা আমাদের চমকে দেয়। যেমন ধরুন আজকের মূল বিষয়টির কথাই ২০০ বছর বয়সেও দিয়ে যাচ্ছে কয়েকশো ফল। তো ফেরা যাক মূল প্রতিবেদনে…

যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকেই থরেথরে কাঁঠাল। তামিলনাড়ুর পানরুটি এমনই একটি স্থান, যেখানে প্রায় ৮০০ হেক্টর জমির উপর সারা বছরই কাঁঠাল চাষ হয়।

পানরুটি শহরের কয়েক কিলোমিটার দূরেই মালিগামপাট্টু নামক গ্রামে রয়েছে একটি ঐতিহ্যবাহী কাঁঠাল গাছ। গাছটির বয়স ২০০ বছরেরও বেশি বলে দাবি স্থানীয়দের।

মালিগামপাট্টুর কৃষক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট এস রামস্বামী জানান, তারা চার পুরুষ ধরে এই গাছটির রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। ২০০ বছর বয়স হয়ে গেলেও কাঁঠাল গাছটি এখনো ১৫০ থেকে ২০০ টি করে কাঁঠাল দেয় এক মৌসুমে । এক একটি কাঁঠালের ওজন হয় তিন থেকে ১২ কিলোগ্রাম। স্বাদের দিক থেকেও এই গাছটির কাঁঠাল অন্য গাছের তুলনায় আলাদা বলে দাবি তার।

শুধু এই একটি গ্রাম নয়, গোটা পানরুটিই কাঁঠাল চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। প্রতি বছর এখানে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপাদিত হয়। পানরুটির কাঁঠাল চাষের উল্লেখ মেলে ইতিহাসের পাতাতেও।

সম্প্রতি এই কাঁঠালের জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হয়েছে আদালতে। গুণগত দিক থেকে নাকি এই কাঁঠাল এতটাই ভালো যে মোট উৎপাদিত ফসলের ৯৫ শতাংশই রপ্তানিযোগ্য। ফলে ফসলের অপচয় প্রায় হয় না বললেই চলে।

Comments